প্রাক-প্রাথমিক/প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ সাজেশন্স (অক্টোবর ২০২০) , বাংলা ব্যাকরণ

বাগধারা

কলির সন্ধ্যা – দুর্দিনের সূত্রপাত ।

ধরি মাছ না ছুই পানি – কৌশলে কার্যোদ্ধার ।

মাছের মা – নির্মম ।

সাক্ষী গোপাল – নিষ্ক্রিয় দর্শক ।

উনপঞ্চাশের বায়ু – পাগলামী ।

চাঁদের হাট – আত্নীয় সমাগম ।

আকাশ কুসুম – অলীক ভাবনা ।

গুড়ে বালি –  আশায় নৈরাশ্য ।

ব্যাঙের সর্দি – অসম্ভব ঘটনা ।

কাকনিদ্রা – অগভীর সতর্ক নিদ্রা ।

ঝাঁকের কই – একই দলের লোক ।

আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ –  হঠাৎ বড়লোক হওয়া ।

আগুনে ঘি ঢালা – রাগ বাড়ানো ।

পটল তোলা –  মারা যাওয়া ।

নিরানব্বুয়ের ধাক্কা – সঞ্চয়ের প্রবৃত্তি ।

অন্তর টিপুনি – গোপন ইশারা ।

ঢাকের কাঠি –  তোষামুদে ।

আলেয়াের আলো – দুর্লভ বস্তু ।

 

সন্ধি

তপঃ + বন = তপোবন ।

যদি + অপি = যদ্যপি ।

সম + কৃত = সংস্কৃত ।

ততঃ + অধিক = তত্যোধিক ।

মোড় + অক = মোড়ক ।

মহা + ঐশ্বর্য = মহৈশ্বর্য ।

বন+পতি = বনস্পতি ।

রবি + ইন্দ্র = রবীন্দ্র ।

শুদ্ধ + ওদন = শুদ্ধোধন ।

প্রতি +এক =  প্রত্যেক ।

কিম + বা= কিংবা ।

শীত + ঋত = শীতার্ত ।

এক + দশ = একাদশ ।

মনঃ + হর = মনোহর ।

বি + ছিন্ন = বিচ্ছিন্ন ।

অন্তঃ + লীন = অন্তর্লীন ।

বৃষ + তি = বৃষ্টি ।

জমা + আনো = জমানো ।

হিন + সা = হিংসা ।

দি্‌ক + অন্ত = দিগন্ত ।

চির + উনি = চিরুনি ।

অতি + অধিক = অত্যধিক ।

লো + অন = লবণ ।

সম + ধান = সন্ধান ।

পদ + হতি = পদ্ধতি ।

ভৌ + উক = ভাবুক ।

উৎ + লাস = উল্লাস ।

ষট + যন্ত্র = ষড়যন্ত্র ।

নিঃ + চয় = নিশ্চয় ।

কুৎ + ঝটিকা = কু্‌জ্‌ঝটিকা ।

সম + হার = সংহার ।

 

সমার্থক শব্দ

পৃথিবী = ধরা, বসুধা, অখিল, ভুবন, মেদিনী, ধরণী, ধরিত্রী, অবনি, ক্ষিতি, বসুমতি, পৃথ্বী ।

সূর্য = রবি, প্রভাকর, দিবাকর, ভানু, ভাস্কর, আদিত্য, অর্ক, অরুণ, মিহির ।

চন্দ্র = শশধর, সুধাকর, হিমাংশু, বিধু, শশী ।

কোকিল = পিক, পরভূত,বসন্তদূত, অন্যপুষ্ট ।

চক্ষু = নেত্র, আখিঁ, লোচন, নয়ন

অনল = আগুন, অগ্নি, পাবক, বহ্নি ।

পেষণ = দলন, মর্দন, বাটা ।

কুল = জাতি, প্রবর, গোত্র, বংশ, গোষ্ঠী ।

হস্তী = হাতি, করী, দ্বিপ, মাতঙ্গ, দ্বিরদ ।

কূল = তীর, কিনারা, তট ।

নদী = তটিনী, তরঙ্গীনি, শৈবালিনী, স্রোতস্বিনী ।

পদ্ম = তামারস, নলিনী, উৎপল, কমল, শতদল, সরসিজ ।

সোনা = কনক, সুবর্ণ, হেম ।

আকাশ =অম্বর, গগন, শূন্য, দ্যুলোক, অন্তরীক্ষ, ব্যোম, নভঃ ।

পুষ্প = ফুল, কুসুম, প্রসূন ।

বন = অটবী, কানন, গহন, অরণ্য ।

 

কারক ও বিভক্তি

এই নদীর মাছ বড় = অধিকরণে ৬ষ্ঠী ।

আগুনে সেঁক দাও -= করণে সপ্তমী ।

পাখি সব করে রব রাত্রি পোহাইল = কর্তায় শূন্য ।

দেবতার ধন কে যায় ফিরায়া লয়ে = সম্প্রদানে ষষ্ঠী ।

কলমের খোঁচা দিও না = করণে ষষ্ঠী ।

এমন  মেয়ে আর দেখিনি = কর্মে শূন্য ।

কান্নায় শোক মন্দীভূত হয় = অধিকরণে সপ্তমী ।

কপোল ভাসিয়া গেল নয়নের জলে = কর্মে শূন্য ।

আমাকে যেতে হবে = কর্তায় ২য়া ।

টাকায় কি-না হয় = করণে সপ্তমী ।

আমা হতে এ কাজ হবে না সাধন = কর্তায় পঞ্চমী ।

ফেরদৌসি কর্তৃক শাহানামা রচিত হয় =কর্তায় ৩য়া ।

চেষ্টায় সব হয় = করণে সপ্তমী ।

পাতায় পাতায় পড়ে নিশির শিশির =  অধিকরণে সপ্তমী ।

জমিতে সোনা ফলে = অধিকরণে সপ্তমী ।

রতনে রতন চিনে = কর্তায় ৭মী ।

আমরা রোজ স্কুলে যাই = অধিকরণে সপ্তমী ।

গরুতে দুধ দেয় = কর্তায় সপ্তমী ।

বসন্তে কোকিল ডাকে = অধিকরণে সপ্তমী ।

বেলা যে পড়ে এল জলকে চল = নিমিতার্থে চতুর্থী ।

চোখ দিয়ে জল পড়ে = অপাদানে ৩য়া ।

কাচের জিনিস অতি সহজে ভাঙে = করণে ষষ্ঠী ।

জলে বাষ্প হয় = অপাদানে সপ্তমী ।

কলমে ভালো লেখা হয় = করণে সপ্তমী ।

ধানেতে তৈরি হয়, মুড়ি, চিড়ে, খই = অপাদানে সপ্তমী ।

সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু = নিমিত্তার্থে ৬ষ্ঠী ।

নতুন ধান্যে হবে নবান্ন = করণে সপ্তমী ।

 

এক কথায় প্রকাশ

চড়কগাছ= অত্যন্ত দীর্ঘকার ।

অন্যদিকে মন নাই যাহার = অনন্যমনা ।

ভোজন করার ইচ্ছা = বুভুক্ষা ।

অগ্রে গমন করে যে = অগ্রগামী ।

যা নিন্দার যোগ্য নয় = অনিন্দ্য ।

যা বলা হয়নি = অনুক্ত ।

গরিবের ঘোড়ারোগ = অবস্থার অতিরিক্ত অন্যায় ইচ্ছা ।

বিশ্বজনের হিতকর = বিশ্বজনীন ।

উলুখা গড়া = গুরুত্বহীন লোক ।

যা কষ্টে জয় করা যায় = দুর্জয় ।

ইন্দ্রপতন = বিখ্যাত ব্যাক্তির মৃত্যু ।

যা সহজে অতিক্রম করা যায় না = অনতিক্রম্য ।

যার বাসস্থান নেই = অনিকেতন ।

যিনি অধিক কথা বলেন না = মিতভাষী ।

যে ভূমিতে ফসল জন্মায় না = ঊষর ।

যে গাছে ফল ধরে কিন্তু ফুল ধরে না = বনস্পতি ।

রাত্রির শেষ ভাগ =  পররাত্র ।

যিনি বক্তব্য দানে পটু= বাগ্নী ।

ঘুঘু চরান = সর্বনাশ করা ।

নষ্ট হওয়ার স্বভাব যার = নশ্বর ।

যা নিবারণ করা যায় না = অনিবারিত ।

জগদ্দল পাথর = গুরুভার ।

যে রোগ নির্ণয়ে হাতড়ে মরে = হাতুড়ে ।

যা অধ্যয়ন করা হয়েছে = অধীত ।

অক্ষির সমীপে = সমক্ষ ।

পঞ্চত্ব প্রাপ্ত = মারা যাওয়া ।

কর্মে যাহার ক্লান্তি নাই = অক্লান্তকর্মী ।

কায়েতের ঘরের ঢেঁকি = অপদার্থ লোক ।

হনন করার ইচ্ছা = জিঘাংসা ।

ক্ষমার যোগ্য = ক্ষমার্হ ।

অগ্রসর হইয়া অভ্যর্থনা = প্রত্যুদ্‌গমন ।

অতি দীর্ঘ নয় যাহা = নাতিদীর্ঘ ।

অপকার করিবার ইচ্ছা =  অপচিকীর্ষা ।

 

শব্দ ভান্ডার

দেশি শব্দ = ডাগর, ন্যাড়া, টোপর, ডিঙা, ঝাঁটা, কুলা, ঢেঁকি, বাতাসা, জারুল, ঢিল, ডাহা, খুকি ।

পর্তুগিজ শব্দ = পাদরি, বালতি, আনারস, আলপিন, পেঁপে, পেয়ারা, গির্জা, গুদাম, চাবি, কেরানি, কামরা, জানালা ইত্যাদি ।

জাপানি শব্দ = রিকশা, হাসনাহেনা, প্যাগোডা, হারিকিরি ।

তুর্কি শব্দ = দারোগা, বাহাদুর, দাদা, চাকর, বাবুর্চি, চাকু, কুলি, লাশ,খাতুন, বেগম ।

মায়ানমার = লুঙ্গি, ফুঙ্গি, ঘুঘনি ।

চিনা শব্দ = চা, চিনি, লিচু সাম্পান ।

গ্রিক = দাম, সুরঙ্গ, সেমাই ।

 

সমাস

হাতা-হাতি = বহুব্রীহি সমাস ।

মৌমাছি = কর্মধারয় সমাস ।

‘মহর্ষি’ যে সমাস = কর্মধারয় ।

দম্পতি = দন্দ্ব সমাস ।

একাদশ = কর্মধারয় সমাস ।

লাঠালাঠি = বহুব্রীহি সমাস ।

ইত্যাদি = তৎপুরুষ সমাস ।

সুগন্ধি = বহু্ব্রীহি সমাস ।

সুবর্ণ = বহু্ব্রীহি সমাস । 

তেলে ভাজা = তৎপুরুষ সমাস ।

গায়ে হলুদ = অলুক তৎপুরুষ ।

কদাচার = কর্মধারয় সমাস ।

মধুমাখা = তৎপুরুষ সমাস ।

বাগদত্তা = তৎপুরুষ সমাস । 

ওষুধ = বহু্ব্রীহি সমাস । 

অপয়া = বহু্ব্রীহি সমাস । 

অনুচিত = তৎপুরুষ সমাস ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here