বাগধারা
কলির সন্ধ্যা – দুর্দিনের সূত্রপাত ।
ধরি মাছ না ছুই পানি – কৌশলে কার্যোদ্ধার ।
মাছের মা – নির্মম ।
সাক্ষী গোপাল – নিষ্ক্রিয় দর্শক ।
উনপঞ্চাশের বায়ু – পাগলামী ।
চাঁদের হাট – আত্নীয় সমাগম ।
আকাশ কুসুম – অলীক ভাবনা ।
গুড়ে বালি – আশায় নৈরাশ্য ।
ব্যাঙের সর্দি – অসম্ভব ঘটনা ।
কাকনিদ্রা – অগভীর সতর্ক নিদ্রা ।
ঝাঁকের কই – একই দলের লোক ।
আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ – হঠাৎ বড়লোক হওয়া ।
আগুনে ঘি ঢালা – রাগ বাড়ানো ।
পটল তোলা – মারা যাওয়া ।
নিরানব্বুয়ের ধাক্কা – সঞ্চয়ের প্রবৃত্তি ।
অন্তর টিপুনি – গোপন ইশারা ।
ঢাকের কাঠি – তোষামুদে ।
আলেয়াের আলো – দুর্লভ বস্তু ।
সন্ধি
তপঃ + বন = তপোবন ।
যদি + অপি = যদ্যপি ।
সম + কৃত = সংস্কৃত ।
ততঃ + অধিক = তত্যোধিক ।
মোড় + অক = মোড়ক ।
মহা + ঐশ্বর্য = মহৈশ্বর্য ।
বন+পতি = বনস্পতি ।
রবি + ইন্দ্র = রবীন্দ্র ।
শুদ্ধ + ওদন = শুদ্ধোধন ।
প্রতি +এক = প্রত্যেক ।
কিম + বা= কিংবা ।
শীত + ঋত = শীতার্ত ।
এক + দশ = একাদশ ।
মনঃ + হর = মনোহর ।
বি + ছিন্ন = বিচ্ছিন্ন ।
অন্তঃ + লীন = অন্তর্লীন ।
বৃষ + তি = বৃষ্টি ।
জমা + আনো = জমানো ।
হিন + সা = হিংসা ।
দি্ক + অন্ত = দিগন্ত ।
চির + উনি = চিরুনি ।
অতি + অধিক = অত্যধিক ।
লো + অন = লবণ ।
সম + ধান = সন্ধান ।
পদ + হতি = পদ্ধতি ।
ভৌ + উক = ভাবুক ।
উৎ + লাস = উল্লাস ।
ষট + যন্ত্র = ষড়যন্ত্র ।
নিঃ + চয় = নিশ্চয় ।
কুৎ + ঝটিকা = কু্জ্ঝটিকা ।
সম + হার = সংহার ।
সমার্থক শব্দ
পৃথিবী = ধরা, বসুধা, অখিল, ভুবন, মেদিনী, ধরণী, ধরিত্রী, অবনি, ক্ষিতি, বসুমতি, পৃথ্বী ।
সূর্য = রবি, প্রভাকর, দিবাকর, ভানু, ভাস্কর, আদিত্য, অর্ক, অরুণ, মিহির ।
চন্দ্র = শশধর, সুধাকর, হিমাংশু, বিধু, শশী ।
কোকিল = পিক, পরভূত,বসন্তদূত, অন্যপুষ্ট ।
চক্ষু = নেত্র, আখিঁ, লোচন, নয়ন ।
অনল = আগুন, অগ্নি, পাবক, বহ্নি ।
পেষণ = দলন, মর্দন, বাটা ।
কুল = জাতি, প্রবর, গোত্র, বংশ, গোষ্ঠী ।
হস্তী = হাতি, করী, দ্বিপ, মাতঙ্গ, দ্বিরদ ।
কূল = তীর, কিনারা, তট ।
নদী = তটিনী, তরঙ্গীনি, শৈবালিনী, স্রোতস্বিনী ।
পদ্ম = তামারস, নলিনী, উৎপল, কমল, শতদল, সরসিজ ।
সোনা = কনক, সুবর্ণ, হেম ।
আকাশ =অম্বর, গগন, শূন্য, দ্যুলোক, অন্তরীক্ষ, ব্যোম, নভঃ ।
পুষ্প = ফুল, কুসুম, প্রসূন ।
বন = অটবী, কানন, গহন, অরণ্য ।
কারক ও বিভক্তি
এই নদীর মাছ বড় = অধিকরণে ৬ষ্ঠী ।
আগুনে সেঁক দাও -= করণে সপ্তমী ।
পাখি সব করে রব রাত্রি পোহাইল = কর্তায় শূন্য ।
দেবতার ধন কে যায় ফিরায়া লয়ে = সম্প্রদানে ষষ্ঠী ।
কলমের খোঁচা দিও না = করণে ষষ্ঠী ।
এমন মেয়ে আর দেখিনি = কর্মে শূন্য ।
কান্নায় শোক মন্দীভূত হয় = অধিকরণে সপ্তমী ।
কপোল ভাসিয়া গেল নয়নের জলে = কর্মে শূন্য ।
আমাকে যেতে হবে = কর্তায় ২য়া ।
টাকায় কি-না হয় = করণে সপ্তমী ।
আমা হতে এ কাজ হবে না সাধন = কর্তায় পঞ্চমী ।
ফেরদৌসি কর্তৃক শাহানামা রচিত হয় =কর্তায় ৩য়া ।
চেষ্টায় সব হয় = করণে সপ্তমী ।
পাতায় পাতায় পড়ে নিশির শিশির = অধিকরণে সপ্তমী ।
এ জমিতে সোনা ফলে = অধিকরণে সপ্তমী ।
রতনে রতন চিনে = কর্তায় ৭মী ।
আমরা রোজ স্কুলে যাই = অধিকরণে সপ্তমী ।
গরুতে দুধ দেয় = কর্তায় সপ্তমী ।
বসন্তে কোকিল ডাকে = অধিকরণে সপ্তমী ।
বেলা যে পড়ে এল জলকে চল = নিমিতার্থে চতুর্থী ।
চোখ দিয়ে জল পড়ে = অপাদানে ৩য়া ।
কাচের জিনিস অতি সহজে ভাঙে = করণে ষষ্ঠী ।
জলে বাষ্প হয় = অপাদানে সপ্তমী ।
এ কলমে ভালো লেখা হয় = করণে সপ্তমী ।
ধানেতে তৈরি হয়, মুড়ি, চিড়ে, খই = অপাদানে সপ্তমী ।
সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু = নিমিত্তার্থে ৬ষ্ঠী ।
নতুন ধান্যে হবে নবান্ন = করণে সপ্তমী ।
এক কথায় প্রকাশ
চড়কগাছ= অত্যন্ত দীর্ঘকার ।
অন্যদিকে মন নাই যাহার = অনন্যমনা ।
ভোজন করার ইচ্ছা = বুভুক্ষা ।
অগ্রে গমন করে যে = অগ্রগামী ।
যা নিন্দার যোগ্য নয় = অনিন্দ্য ।
যা বলা হয়নি = অনুক্ত ।
গরিবের ঘোড়ারোগ = অবস্থার অতিরিক্ত অন্যায় ইচ্ছা ।
বিশ্বজনের হিতকর = বিশ্বজনীন ।
উলুখা গড়া = গুরুত্বহীন লোক ।
যা কষ্টে জয় করা যায় = দুর্জয় ।
ইন্দ্রপতন = বিখ্যাত ব্যাক্তির মৃত্যু ।
যা সহজে অতিক্রম করা যায় না = অনতিক্রম্য ।
যার বাসস্থান নেই = অনিকেতন ।
যিনি অধিক কথা বলেন না = মিতভাষী ।
যে ভূমিতে ফসল জন্মায় না = ঊষর ।
যে গাছে ফল ধরে কিন্তু ফুল ধরে না = বনস্পতি ।
রাত্রির শেষ ভাগ = পররাত্র ।
যিনি বক্তব্য দানে পটু= বাগ্নী ।
ঘুঘু চরান = সর্বনাশ করা ।
নষ্ট হওয়ার স্বভাব যার = নশ্বর ।
যা নিবারণ করা যায় না = অনিবারিত ।
জগদ্দল পাথর = গুরুভার ।
যে রোগ নির্ণয়ে হাতড়ে মরে = হাতুড়ে ।
যা অধ্যয়ন করা হয়েছে = অধীত ।
অক্ষির সমীপে = সমক্ষ ।
পঞ্চত্ব প্রাপ্ত = মারা যাওয়া ।
কর্মে যাহার ক্লান্তি নাই = অক্লান্তকর্মী ।
কায়েতের ঘরের ঢেঁকি = অপদার্থ লোক ।
হনন করার ইচ্ছা = জিঘাংসা ।
ক্ষমার যোগ্য = ক্ষমার্হ ।
অগ্রসর হইয়া অভ্যর্থনা = প্রত্যুদ্গমন ।
অতি দীর্ঘ নয় যাহা = নাতিদীর্ঘ ।
অপকার করিবার ইচ্ছা = অপচিকীর্ষা ।
শব্দ ভান্ডার
দেশি শব্দ = ডাগর, ন্যাড়া, টোপর, ডিঙা, ঝাঁটা, কুলা, ঢেঁকি, বাতাসা, জারুল, ঢিল, ডাহা, খুকি ।
পর্তুগিজ শব্দ = পাদরি, বালতি, আনারস, আলপিন, পেঁপে, পেয়ারা, গির্জা, গুদাম, চাবি, কেরানি, কামরা, জানালা ইত্যাদি ।
জাপানি শব্দ = রিকশা, হাসনাহেনা, প্যাগোডা, হারিকিরি ।
তুর্কি শব্দ = দারোগা, বাহাদুর, দাদা, চাকর, বাবুর্চি, চাকু, কুলি, লাশ,খাতুন, বেগম ।
মায়ানমার = লুঙ্গি, ফুঙ্গি, ঘুঘনি ।
চিনা শব্দ = চা, চিনি, লিচু সাম্পান ।
গ্রিক = দাম, সুরঙ্গ, সেমাই ।
সমাস
হাতা-হাতি = বহুব্রীহি সমাস ।
মৌমাছি = কর্মধারয় সমাস ।
‘মহর্ষি’ যে সমাস = কর্মধারয় ।
দম্পতি = দন্দ্ব সমাস ।
একাদশ = কর্মধারয় সমাস ।
লাঠালাঠি = বহুব্রীহি সমাস ।
ইত্যাদি = তৎপুরুষ সমাস ।
সুগন্ধি = বহু্ব্রীহি সমাস ।
সুবর্ণ = বহু্ব্রীহি সমাস ।
তেলে ভাজা = তৎপুরুষ সমাস ।
গায়ে হলুদ = অলুক তৎপুরুষ ।
কদাচার = কর্মধারয় সমাস ।
মধুমাখা = তৎপুরুষ সমাস ।
বাগদত্তা = তৎপুরুষ সমাস ।
ওষুধ = বহু্ব্রীহি সমাস ।
অপয়া = বহু্ব্রীহি সমাস ।
অনুচিত = তৎপুরুষ সমাস ।